দেশের বাজারে আবার বেড়েছে আটার দাম। বিপণনকারী কোম্পানিগুলো আটার দুই কেজির প্যাকেটের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে ১০৮ থেকে ১১৫ টাকা, যা আগের চেয়ে ১২ থেকে ১৭ টাকা বেশি। এ হিসাবে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৬ থেকে সাড়ে ৮ টাকা।
দেশের মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চাল। এরপরই রয়েছে আটা-ময়দা। এই খাদ্যপণ্যের দাম নিয়মিত বাড়ছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, এক বছরে আটার দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। আর খোলা ও প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ৪৯ থেকে ৬৬ শতাংশ। অবশ্য টিসিবি যে দর উল্লেখ করেছে, তা বাজারের নতুন দামের চেয়ে কম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কয়েকটি কোম্পানির নতুন দামের আটা বাজারে এসে গেছে। আবার কয়েকটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা নতুন দামে ফরমাশ নেওয়া শুরু করেছেন। কারওয়ান বাজারের মুদিদোকান রব স্টোরের বিক্রেতা ইকরামুল হক বলেন, ‘আটা-ময়দার দাম ওঠানামা করতে করতে একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু কোম্পানিগুলো আবার প্যাকেট আটার দাম বাড়িয়েছে।’
কারওয়ান বাজারের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, একটি ব্র্যান্ডের আটার দুই কেজির প্যাকেটের উৎপাদনের তারিখ লেখা ২০ মে, দর ১০৮ টাকা। আরেকটি ব্র্যান্ডের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ লেখা ২১ মে, দাম ১১৫ টাকা (দুই কেজি)। অন্য একটি ব্র্যান্ডের দুই কেজির প্যাকেটে উৎপাদনের তারিখ লেখা ২২ মে, দাম ১০৮ টাকা।
ঢাকার মগবাজারের কয়েকজন দোকানি জানান, কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানিয়ে গেছেন, আটার দাম বেড়েছে। তবে বাড়তি দামের আটা তাঁরা রাখা শুরু করেননি। ইস্কাটনের দিলু রোডের নারমিন স্টোরের স্বত্বাধিকারী উজ্জ্বল কুমার দে বলেন, ‘আটার দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এত দ্রুত দাম বাড়ছে যে ক্রেতারা বিরক্ত। বারবার নতুন দাম মনে রাখতে রাখতে আমরাও বিরক্ত।’
বাজারে খোলা আটার কেজি ৫০ টাকার আশপাশে এবং বাজারভেদে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মতামত দিন