• ২০২৩ ডিসেম্বর ১১, সোমবার, ১৪৩০ অগ্রহায়ণ ২৬
  • সর্বশেষ আপডেট : ২:২২ অপরাহ্ন
  • বেটা ভার্সন
Logo
  • ২০২৩ ডিসেম্বর ১১, সোমবার, ১৪৩০ অগ্রহায়ণ ২৬

খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

  • প্রকাশিত ২:৫৯ অপরাহ্ন মঙ্গলবার, জানুয়ারী ২৪, ২০২৩
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও সরকারি তহবিল ব্যবহারে সাশ্রয়ী, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পরিহার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে নিবেদিত হতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের শাপলা হলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন।

তিনি তার প্রথম নির্দেশনায় বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আপনাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। কোথাও কোনো জমি যেন অব্যবহৃত না থাকে… সারা বাংলাদেশে অনাবাদি জমি আছে, এগুলোকে চাষের উপযোগী করে তুলতে পারলে খাদ্য উৎপাদন ও বৈচিত্র্য আনতে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন যে বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশ যাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য তিনি এখন কৃষি উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

দ্বিতীয় নির্দেশনায় তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে আপনাদেরকে মিতব্যয়ী হওয়ার পাশাপাশি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।’

জনগণ যাতে সরকারি অফিস থেকে সময়মতো সেবা পায় এবং সেবাগ্রহীতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করে তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরুল্লাহ, নরসিংদী ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক আবু নাঈম মোহাম্মদ মারুফ খান ও ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজি বক্তব্য রাখেন।

বৃহস্পতিবার শেষ হতে যাওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩-এ এবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ২০টি ওয়ার্কিং সেশনসহ মোট ২৬টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।

এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকরা রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নেবেন।

সম্মেলনে ডিসিরা সরকারের বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা ও নীতিমালা বাস্তবায়নের সময় তারা যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন, মাঠ পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তার ওপর ভিত্তি করে তারা বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আসেন।

কর্মকর্তারা জানান, এ বছর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মোট ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছে।


সর্বশেষ