হলিউডের অন্যতম বড় নাম অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ৪ জুন ৪৭ ছুঁলেন তিনি। আর তিন পেরোলেই হাফ সেঞ্চুরি করবেন বিশ্বের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।
১৯৭৫-এ ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্ম এ অভিনেত্রীর। পুরো নাম অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভয়েট, অভিনেতা জন ভয়েট এবং মার্চেলিন বার্ট্রান্ডের ঘরে জন্ম তার।
অভিনেত্রী হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে জোলি করতেন মডেলিং, যুক্ত ছিলেন থিয়েটারে। বেশ কয়েকটি মিউজিক ভিডিওতে দেখা গেছে তাকে। যেমন লেনি ক্রাভিটজের ‘স্ট্যান্ড বাই মাই ওম্যান’ (১৯৯১), আন্তোনেলো ভেন্ডিত্তির ‘আল্টা মারিয়া’ (১৯৯১), দ্য লেমনহেডসের ‘ইটস অ্যাবাউট টাইম’ (১৯৯৩)।
জোলির বড় পর্দায় অভিষেক শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৮২ সালে তার বাবার সঙ্গে লুকইন টু গেট আউট সিনেমায় অভিনয় করেন। এর ১১ বছর পর সাইবর্গ টু সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। সিনেমাটি নিয়ে এতটাই হতাশ হয়েছিলেন তিনি, পরের এক বছর আর কোনো সিনেমায় অডিশনই দেননি।
মূল চরিত্রে তার প্রথম সিনেমা হ্যাকারস মুক্তি পায় ১৯৯৫ সালে। ২০১১ সালে ইন দ্য ল্যান্ড অফ ব্লাড অ্যান্ড হানি দিয়ে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন জোলি।
২০০০ সালে প্রথমবার অস্কার ধরা দেয় জোলিকে। গার্ল, ইন্টারাপটেড সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেত্রীর জন্য অস্কার জেতেন।
২০০১ সালে লারা ক্রফ্ট: টম্ব রাইডার সিনেমাটি জোলিকে আন্তর্জাতিক সুপারস্টার বানাতে সাহায্য করে। সিনেমাটির জন্য তাকে অনেক মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল।
জোলি তিনটি গোল্ডেন গ্লোব এবং দুটি স্ক্রিন অ্যাক্টর গিল্ড পুরস্কারও জিতেছেন।
জোলির আইকনিক ফিল্ম মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ (২০০৫)-এ ব্র্যাড পিটের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। সেই জুটিকে সবাই ব্র্যাঞ্জেলিনা নামে ডাকত। ১০ বছরের দীর্ঘ সময় প্রেমের সম্পর্ক, পরে ২০১৪-তে বিয়ে এবং ২০১৯-এ বিচ্ছেদ হয় তাদের।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির ছয় সন্তান শিলো, জাহারা, ভিভিয়েন, ম্যাডক্স, নক্স এবং প্যাক্স।
অভিনেত্রী হিসেবেই সবার কাছে পছন্দের-ভালোবাসার জোলি। তবে তিনি এখন সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন মানবাধিকার নিয়ে।
জোলি আন্তর্জাতিক দাতব্য প্রকল্পে, বিশেষত শরণার্থীদের বিষয়ে বিশেষভাবে জড়িত। দেশটিতে চলমান রাশিয়ান আগ্রাসনের মধ্যে সম্প্রতি ইউক্রেনেও এই তারকাকে দেখা গেছে।
১৩ মিলিয়নেরও বেশি অনুরাগীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে অভিনেত্রীর একটি বিশাল ভক্তকুল রয়েছে। তবে তার ইনস্টাগ্রাম গ্যালারি অধিকাংশের চেয়ে আলাদা।
জোলি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত এবং শরণার্থী সংকটের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরতে তার তারকা খ্যাতি ব্যবহার করেন।
মতামত দিন